• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের  ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন 

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প-৮ এর আওতায় ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার অংশের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন ঘটবে। গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা। প্রসারিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। এসব কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।

এদিকে, জমি জটিলতার কারণে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিগগিরই এ জটিলতা কাটিয়ে ঐ এলাকায় কাজ শুরু হবে।

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মর্ডান মোড় পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। কিন্তু করোনা, বন্যা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাজের ধীরগতি বাড়ে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাসেস-২ প্রকল্প-৮ এর কর্মকর্তারা।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের (সাসেক-২)।

সাসেক-২ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগা থেকে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কের ৮৫ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড় বন্দর এলাকায় জমি জটিলতার কারণে দেড় কিলোমিটার অংশে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সেখানকার প্রায় ২২ একর জমি এখনো অধিগ্রহণ করা হয়নি।

এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, সেখানকার ভূমি মালিকদের অসহযোগিতার কারণে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হয়ছে। তবে সাসেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অচিরেই এ জটিলতা কাটিয়ে ঐ এলাকায় কাজ শুরু করা হবে।

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের জায়গিরহাট ও মিঠাপুকুরে ওভারপাস নির্মাণ করায় সেখানকার যানজট নেই। শঠিবাড়ি ও বড়দরগায় ওভারপাসের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। পায়রাবন্দের ইসলামপুর এলাকায় স্বয়ংক্রিয় টোল প্লাজার নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

সাসেক-২ এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পীরগঞ্জের বড়দরগা থেকে রংপুর মর্ডান মোড় পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কে ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পীরগঞ্জের বড়দরগা থেকে রংপুরের মর্ডান মোড় পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৪০ একর। ৪ হাজার ৫৯৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, কৃষক, জমির মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে ৮৫৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মূল ৪ লেনের প্রশস্ত রয়েছে ১৮ মিটারেরও বেশি। ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য যে ২ লেন রয়েছে তার প্রশস্ত হচ্ছে ১১ মিটার। এ সড়কে বড়দরগায় ৫৪ মিটার, শঠিবাড়িতে ৫৪ মিটার, মিঠাপুরে ৬৯ মিটার ও জায়গীরহাটে ৩০ মিটার আন্ডারপাস রয়েছে। এছাড়া ২৫ দশমিক ৫ মিটার মর্ডান ব্রিজ ও ৬৭ দশমিক ১৫ মিটার দমদমা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। বৈরাগীগঞ্জ ও পায়রাবন্দরে দুটি ইউটার্ন রয়েছে। মিঠাপুরের গড়ের মাথায় সংযোগ সড়ক (ইন্টারসেকশন) রয়েছে।

সাসেক-২, প্রকল্প-৮ এর উপ-প্রকল্প ম্যানেজার নাশিদ হাসান সিরাজী জানান, হাটিকুমুল থেকে রংপুরের ৪ লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন ঘটবে। এর পাশাপাশি গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা। প্রসারিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য। এসব কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।

প্রসঙ্গত, এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ৪ লেন সড়কের কাজ ২০১৯ সালের জুনে শুরু হয়। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনা, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ ও বন্যার কারণে প্রকল্পের কাজের ধীরগতি বাড়ে। পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

– দৈনিক পঞ্চগড় নিউজ ডেস্ক –